সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়


চাঁদবিলের রাস্তাপাড়াতে মনোরম পরিবেশের মধ্যে সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। সিএমসি শব্দের অর্থ চাঁদবিল, ময়ামারী, কোলা; তিনপাশের তিন গ্রামের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই বেসরকারি উদ্যোগে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা অফিস থেকে ০৬ কি:মি: পূবে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের চাঁদবিল গ্রামে প্রধান সড়কের ২০০ গজ উত্তরে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের সম্মুখে রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ, যেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা টিফিনের সময় ও বিকালে খেলার সুযোগ পায়, সাথে গ্রামের অন্যান্য ছেলেরাও খেলার সুযোগ পায়। সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমিদান করেন মোঃ আব্দুল্লাহ, পিতা মৃত মজিদ মাস্টার সাং চাঁদবিল।

ইতিহাসঃ এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে জনাব মো: আব্দুল্লাহ (ইঞ্জিনিয়ার) শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবগের সমন্বয়ে ২০০২ ইং সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেন। অত্র প্রতিষ্ঠানটি চাঁদবিল, ময়ামারী ও কোলা গ্রামের মধ্যখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ উক্ত তিনটি গ্রামের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে সি, এম, সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রাখা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকঃ মোঃ খালেদ ওমর রুমি।

শিক্ষক ও শিক্ষিকাঃ ০৯ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ০৩ জন কমচারী কর্মরত আছেন।

স্কুলভবনঃ সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান ৯৬ শতক, মোট ভবন সংখ্যা ৩টি, যার মধ্যে ৮টি কক্ষ আছে, যার মধ্যে একটি অফিস ও অফিসের সাথেই আছে লাইব্রেরী, যেখানে ১৭৬৫টি পুস্তক আছে।

পাশের হারঃ ৯৫%

ছাত্র-ছাত্রীর পরিসংখ্যানঃ এখানে প্রতিবছর ৩৫০ থেকে ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার সুযোগ পাই। ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৭ জন লেখাপড়া করছে এখানে, যার মধ্যে ১৭৭ জন বালক ও ২১০ জন বালিকা লেখাপড়া করে যাদের বেশির ভাগই চাঁদবিল, কোলা ও ময়ামারী গ্রামের। ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে সর্বমোট ১২২ জন, যার মধ্যে ৫৭ জন বালক ও ৬৫ জন বালিকা। ৭ম শ্রেণীতে সর্বমোট ৭৭ জন, যার মধ্যে ৩৭ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা। ৮ম শ্রেণীতে সর্বমোট ৮৪ জন যার মধ্যে ৩১ জন বালক ও ৫৩ জন বালিকা। ৯ম শ্রেণীতে সর্বমোট ৬৫ জন, যার মধ্যে ৩১ জন বালক ও ৩৪ জন বালিকা। ১০ম শ্রেণীতে সর্বমোট ৩৯ জন, যার মধ্যে ২১ জন বালক ও ১৮ জন বালিকা। 

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর পাশের পরিসংখ্যানঃ বিদ্যালয়ের বিগত ৩ বছরের পাশের হার ছিলঃ ২০১১ সালে জেএসসি ৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ৪০ জন, পাশের হার ৮৬.৯৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এসএসসি ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ১৯ জন, পাশের হার ৭৬ শতাংশ। ২০১২ সালে জেএসসি ৪৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ৪২ জন, পাশের হার ৯৩.৩৩ শতাংশ। ২০১২ সালে এসএসসি ৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ২৮ জন পাশের হার ৮২.৩৫ শতাংশ। ২০১৩ সালে জেএসসি ৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ৭১ পাশের হার ৯২.২০ শতাংশ। ২০১৩ সালে এসএসসি ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল এবং পাশ করেছিল ২১ পাশের হার ৯৫.৪৫ শতাংশ।

চাঁদবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্জনঃ ২০১২ সালে আন্তঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় রানার-আপ হয়েছিল।