মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে অনীল ফকিরের লালন উৎসব। জাত ধর্ম ভুলে গিয়ে জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা থেকে সাধু ও বাউল শিল্পীরা ছুটে আসে এ মিলন মেলায়। লালন সাইয়ের, দর্শনত্ব, মানবতত্ব এবং আধ্যাত্মিক গানে গানে মেতে ওঠেন শিল্পিরা। জাতি ধর্ম নয় মানবের মুল মন্ত্র প্রচার করাই এ জগতের মুল কাজ বলে মনে করেন ফকির লালন শাহ ভক্তরা। আর এ কাজের মাধ্যমে শুধু বাউল ভক্তরা নয়, সারা বিশ্বের জ্ঞাণী গুনি মানুষেরা লালন সাইজির পথে আকৃষ্ট হচ্ছে। মানুষকে ভালবাসতে পারলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ সহ সমাজে লোভ লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকারবোধ দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। অনুষ্ঠানে গানে গানে লালন সাইয়ের আদর্শ প্রচার করেন তারা। সাইজর প্রতিটি কথা সরল আত্মার কথা। তাঁর গানের মূল বিষয় হলো মানবতত্ব। মানুষের মাঝে স্রস্টার অস্তিত্ব আছে। এ কথাগুলো তাঁরা গানের মাধ্যমে প্রচার করেন।
ফকির ইনছান জানান, সাইজি শিখিয়েছেন মানব-ই বড় ধর্ম। সে আদর্শ প্রচার করছেন লালন ভক্ত ও শিল্পীরা। গানে গানে লালনের আদর্শ তুলে ধরেন তারা। এছাড়াও মানুষ ভজলে
লালনের আর্ধ্যাতিকতত্ব, দর্শনতত্ব ও মানবধর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মেহেরপুরের চাঁদবিলে আয়োজন করা হয়েছে দু’দিনব্যাপী লালন উৎসব। দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত লালন ভক্ত ও বাউল শিল্পীরা জড়ো হয়েছে এখানে। গানে গানে লালন সাইয়ের দর্শন প্রচার করছেন তারা। তবে লালনের গান ও সাধু সঙ্ঘগুলো সাইজির দর্শনের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লালন গবেষকরা। গানগুলো আধুনিকায়নের নামে বিকৃতি করা হচ্ছে। এছাড়াও পালা গানের নামে অন্য দর্শনের গান পরিবেশন করা হচ্ছে লালন উৎসবগুলোতে। এগুলো বন্ধের দাবি তাদের।